শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৩ অপরাহ্ন

সর্বশেষ :
পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা -খুলনা ট্রেন চলাচল শুরু ২ ডিসেম্বর সিনেমা করব না এটা কখনোই বলিনি: কেয়া পায়েল আইপিএল নিলামের আগে নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার শেখ হাসিনাকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে এম সাখাওয়াতের বিস্ফোরক মন্তব্য, কী বলেছেন এই উপদেষ্টা লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে বিএনপি’র নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল আ. লীগের রাজনীতি করার বিষয়ে যে মন্তব্য করলেন নাহিদ ইসলাম যুক্তরাজ্যে ঢুকলেই গ্রেপ্তার হতে পারেন নেতানিয়াহু ব্রাক্ষণবাড়িয়া বিজয়নগরে মাদকসহ আটক ১ ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাই : জামায়াত আমির দুই-এক বছর দেখতে চাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেঃ নুর

ওসমানীনগরে চেঙ্গের খালে অবৈধ বাঁধ নির্মান বিপাকে সাধারণ মৎস্যজীবিরা

 ওসমানীনগর বালাগঞ্জ প্রতিনিধি : সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নের চেঙ্গের খালে জাল দিয়ে অবৈধ বাঁধ নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উপজেলার শাপলা মৎসজীবী সমবায় সমিতির সদস্যরা চেঙ্গের খালের পানি যাতায়াতের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে অবৈধ ভাবে মাছ শিকার করছে তারা। উক্ত খালে সাদীপুর, চাঁনপুর ও মোবারকপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির প্রায় দেড়শতাধিক জেলে দীর্ঘদিন থেকে কাটার মার খাল এবং সাদিখালের তীরবর্তী মৎস্যজীবী পরিবারের প্রায় হাজারো মৎস্যজীবীরা মাছ ধরে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলো। কুশিয়ারা নদী ও বিভিন্ন হাওয়র থেকে চেঙ্গের খাল, কাটার মার খাল, সাদি খাল, লোম, কালী নদী হয়ে সব সময় পানি ও মাছ চলাচল করে। বর্তমানে চেঙ্গের খালের ইজারাদার শাপলা মৎসজীবী সমবায় সমিতি চেঙ্গের খালে জাল দিয়ে অবৈধ বাঁধ নির্মাণ করে পানি ও মাছ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। যার ফলে পানি চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় দেড় শতাধিক মৎস্যজীবি পরিবারের হাজারো মৎস্যজীবি লোকজনে মাথায় হাত। এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস জীবী সুধাংশু দাস বলেন এই সময় মাছ নামার মৌসুম, কিন্তু খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে শাপলা মৎসজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি এবাদ মিয়া ও তার সহযোগীরা। আরেক মৎস্যজীবী অঞ্জন দাস বলেন এই খালে আমরা দীর্ঘদিন থেকে মাছধরে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। কিন্তু চেঙ্গের খালের ইজারাদার এবাদ মিয়া ও তার দল খালে অবৈধ বাঁধ নির্মান করে মৎস্য অধিদপ্তরের আইন অমান্য করে পানি ও মাছ চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে । উক্ত বিষয়ে ২৮ অক্টোবর ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগীরা। অভিযুক্ত ইজারাদার এবাদ মিয়া সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন এই খালের একটি অংশ আমাদের সমিতি সরকারি নিয়মের বিধি মোতাবেক ইজারা এনেছি। জাল দিয়ে বাধ দেওয়ার বিষয় নিশ্চিত করে তিনি বলেন আমরা জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত আবেদন করেছি কিন্তু এখনো কোন সিদ্ধান্ত আসেনি,যদি প্রশাসন মনে করে এই বাধটি বৈধ নয় তাহলে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাধটি অপসারণ করে নিব।ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপমা দাস বলেন এই বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করার জন্য উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

খবরটি শেয়ার করুন